যশোরে শহরতলীর আরবপুর মাঠপাড়ায় আগুনে পুড়ে শিরিন বেগম (২৬) এক গৃহবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই এলকায় মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে রাতে দ্গ্ধ শিরিনকে খুলনা মেডিক্যাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত শিরিন ঝিকরগাছা উপজেলার কায়েমখোলা গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে ও মাঠপাড়া এলাকার জুয়েল সর্দারের স্ত্রী।
শিরিন জুলেয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন। তার প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর আড়াই বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিরিনের শরীরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তার বাবা খলিলের। তিনি দাবি করেন, তার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পুড়িয়ে মেরেছে। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর তাকে হাসপাতালে আসতে খবর দেওয়া হয়।
সেখানে গিয়ে মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এদিকে, আজ বুধবার দুপুরে যশোর শহরতলীর ধর্মতলা মাঠপাড়া এলাকায় জুয়েল সর্দারের বাড়িতে গিয়ে জুয়েল সর্দারকে পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী এক গৃহবধূ বলেন, ‘আমি তখন রান্না করছিলাম, এ সময় চিৎকার শুনে বাইরে এসে দেখি শিরিন ও জুয়েল দুজনেই দৌড়ে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। শিরিনের শরীরে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলছে।
তাড়াতাড়ি জুয়েলসহ সবাই শিরিনের গায়ের আগুন নেভাতে চেষ্টা করতে থাকে। এরপর পরে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ বাড়িতে কথা হয় জুয়েলের প্রথম পক্ষের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সিয়াম সর্দারের সঙ্গে। সে বলে, ‘আব্বা-মার মধ্যে তখন ঝগড়া হচ্ছিলো। ঘরে পেট্রল রাখা ছিলো। মা বোতলের মুটকি খুলে বলছিল আমি গায় পেট্রোল ঢালছি। এ কথা বলে গায়ে পেট্রল ঢেলে গ্যাস লাইট জ্বালিয়ে দিলে ধুপ করে আগুন ধরে যায়।’
এসময় সাংবাদিকরা কে আগুন ধরিয়েছে? জানতে চাইলে সিয়াম বলে, ‘মা নিজে আগুন ধরিয়েছে।’ এ ব্যাপারে যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আহমেদ তারেক শামস বলেন, তার শরীরের বেশিরভাগ অংশ দগ্ধ হয়েছে। তিনি দাহ্য পদার্থে দগ্ধ হয়েছে। ওসি তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।